কিশোরগঞ্জে চেতনানাশক স্প্রে করে একটি ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাই হওয়া দুটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও চেতনাশক ওষুধ জব্দ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বরুনাকান্দা গ্রামের মো. শিপন মিয়া (২৫), পার্শ্ববর্তী জেলার তাড়াইল উপজেলার বোরগাঁও গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৫), নান্দাইল উপজেলার মাইজহাটি গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম (৪২), নান্দাইল উপজেলার কিসমত রসুলপুর গ্রামের মো. অংকুর মিয়া ওরফে রিপন (২৮) এবং নান্দাইল উপজেলার মোরাগালা গ্রামের মো. শাহীন খান (৩২)।
এদের মধ্যে শিপন মিয়াকে গতকাল সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং বাকি চারজনকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত বাজার থেকে তিনজন যুবক যাত্রীবেশে মো. মামুন মিয়ার ইজিবাইক ভাড়া করেন। এরপর তাঁরা কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের দিকে রওনা হন। পথে ইজিবাইকচালক মো. মামুন মিয়াকে চেতনানাশক স্প্রে করে তাঁকে সড়কের পাশে ফেলে রেখে তাঁর ইজিবাইক, মোবাইল ফোন ও নগদ দেড় হাজার টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যান।
পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পরপরই জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। এরপর ১৭ ডিসেম্বর নান্দাইলের বরুনাকান্দা গ্রাম থেকে মো. শিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই চক্রের মোট পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মামুন মিয়ার ইজিবাইকসহ দুটি চোরাই ইজিবাইক, চালকের মোবাইল ফোন ও চেতনানাশক ওষুধ জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।