বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষকদের পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। সব স্কুলে বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হবে।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শনিবার ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফা’ বিষয়ে খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের বনিয়াদটাকে শক্তিশালী করতে পারলে তাদের ভবিষ্যতটা শক্ত, সুন্দর হবে বলে জানান বিএনপির নেতা। তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে। শিক্ষকদের এমন সাপোর্ট দেওয়া হবে, যাতে তাঁরা পাঠদানে পুরো মনোযোগ দিতে পারেন।
তারেক রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণি থেকে কারিগরি শিক্ষা, বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি বিদেশি বিভিন্ন ভাষা, খেলাধুলা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে—যাতে ছেলেমেয়েরা দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে গিয়েও যেকোনো পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
গত ১৫-১৬ বছর দেশ থেকে বহু অর্থ-সম্পদ পাচার হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘ফলে সার্বিকভাবে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। যেহেতু আমরা অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে আছি, আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে অল্প অর্থটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার।’
অনুষ্ঠানস্থল থেকে ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার ওপর গত ১৬ আগস্ট উপজেলার ৮৪টি বিদ্যালয়ের ১০ হাজারের
বেশি শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়। পুরস্কার দেওয়া হয় ৬০ জনকে। এর মধ্যে প্রথম পুরস্কার ২৫ হাজার, দ্বিতীয় পুরস্কার ১৫ হাজার, তৃতীয় পুরস্কার ১০ হাজার এবং চতুর্থ পুরস্কার ৫ হাজার টাকা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তিনটি স্কুলকে ১ লাখ করে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়।