কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে হাওরে মাছ ধরা, ধান কাটা ও খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে এক নারীসহ কৃষক ও জেলে নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল ও দুপুরের দিকে অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনের পৃথক তিন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন—অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের হালালপুর গ্রামের মৃত যতিন্দ্র দাসের ছেলে ইন্দ্রজিত দাস (৩৬), খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের আনেয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ইদ্রিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (১৪) ও মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের রানিগঞ্জ গ্রামের আশরব আলীর স্ত্রী ফুলেছা বেগম (৬০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে কলমা ইউনিয়নের হালালপুর গ্রামের ইন্দ্রজিৎ দাস হাওরে ধান কাটতে যান। এ সময় আকাশে মেঘ করলে বজ্রপাত শুরু হয়। এতে বজ্রপাতের আঘাতে ইন্দ্রজিৎ নিহত হন। পরে খবর পেয়ে তা়ঁর স্বজনেরা মরদেহ উদ্ধার করেন।
দুপুরে অষ্টগ্রাম উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা স্বাধীন মিয়া খয়েরপুর হাওরে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার সময় হঠাৎ আকাশে মেঘ করে বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতের আঘাতে স্বাধীন আহত হন। খবর পেয়ে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার স্থানীয় বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে নিলে চিকিৎসক স্বাধীনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের রানিগঞ্জ গ্রামে সকালে বাড়ির সামনে পতিত জমিতে ধানের খড় শুকানোর সময় আকাশে মেঘ করে বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতের আঘাতে ফুলেছা বেগম নিহত হন। খবর পেয়ে স্বজনেরা তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন।
মিঠামইন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অর্পন বিশ্বাস বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।