কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ৬টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম আনন্দ (২০)। আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর বাবার নাম মো. তাহের মিয়া।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের আলিম সরকারের বাড়ির রুজেন গ্রুপের কয়েকজন অনুসারীকে আড়াই ব্যাপারীর বাড়ির ভুবন গ্রুপের অনুসারীরা মারধর করে। এর জেরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তারা রামদা, রড ও লাঠিসোঁটায় সজ্জিত হয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেয়। ১ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ রামদা ও লাঠিসোঁটা দিয়ে দোকানপাট ও যানবাহনের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। নিহত যুবক আনন্দ আলিম সরকারবাড়ির পক্ষে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তালেব বলেন, আড়াই ব্যাপারী বাড়ির ভুবন গ্রুপ ও আলিম সরকারের বাড়ির রুজেন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনন্দ নামের এক যুবক মারা গেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।