কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কর্মী ইমরানুল হক হিমেল (৩২) নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে করা এ হত্যা মামলায় সদর উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক এমদাদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হিমেলের মা হালিমা খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে আসামি হিসেবে ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে। এ মামলায় ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামিসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তদন্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ মিললে অস্ত্র আইন মামলায় যুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, মাদক কারবার ও চাঁদাবাজিসংক্রান্ত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার বৌলাই পুরান বাজার এলাকায় যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় হিমেল নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন। নিহত হিমেল ওই এলাকার হবি মিয়ার ছেলে এবং রাজনের অনুসারী। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই দিন বিকেলে রাজনের পক্ষের লোকজন এমদাদের বাড়িঘরে আগুন দেন।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে জেলা যুবদলের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আলী আব্বাস ও এমদাদকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে জেলা যুবদলের সভাপতি খশরুজ্জামান শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
এ বিষয়ে শরীফ বলেন, ‘এটা যুবদলের কোনো বিষয় নয়। তাদের ব্যক্তিগত বিষয় এবং দুজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। দলীয় কোনো সম্পৃক্ততা এখানে নেই। আমাদের কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সশরীরে উপস্থিত হয়ে সাত দিনের মধ্যে আমরা সে ব্যাখ্যা দেব।’