ঘটনাটি কুষ্টিয়ার কুমারখালী ইউনিয়নের। তিন মাস আগে মোবাইলে পরিচয় হয় জাহিদুল (২০) এবং নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৪)। তিন মাসের যোগাযোগে প্রেম হয়, নেয় বিয়ের সিদ্ধান্ত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে পালিয়ে দুজন ঢাকায় চলে আসে।
তবে ঢাকায় এসে মত বদলান জাহিদুল, বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এমন পরিস্থিতিতে দুজন আবার গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে রোববার দুপুরে বিয়ের দাবিতে শিলাইদহ ইউনিয়নের ছোট মাজগ্ৰামে জাহিদুলের বাড়িতে অনশনে বসে ওই ছাত্রী। তখন জানতে পারে প্রেমিক জাহিদুল প্রায় পাঁচ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছেন। কিন্তু এত দিন কিছুই টের পায়নি নাতুরিয়া মাধ্যমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী।
আজ সোমবার সকালে ওই স্কুলছাত্রী বলে, 'প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আমাকে ঢাকা নিয়ে যায় জাহিদুল। ঢাকা যাওয়ার পর বিয়ে করতে অসম্মতি জানালে কৌশলে ওর সঙ্গে গ্রামে ফিরে আসি এবং রোববার দুপুর থেকে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছি। অনশনে বসে জানতে পারি জাহিদুল ৫ মাস আগে বিয়ে করেছে।'
এ বিষয়ে জাহিদুল বলেন, মোবাইলে প্রথমে পরিচয় এবং পরে গভীর প্রেম। আমি তাকে বিয়ে করতে রাজি। কিন্তু আমি বিবাহিত হওয়ায় পরিবার মানছে না।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।