যশোরের মনিরামপুরে নিজ এলাকায় নিম্নমানের ইট দিয়ে কাঁচা রাস্তা সংস্কার করতে এসে তোপের মুখে পড়েন এক ঠিকাদার। পরে এলাকাবাসীর চাপে কাজ বন্ধ করে সেই ইট তুলে নিয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার টেংরামারী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঠিকাদারের নাম জুয়েল মল্লিক। তিনি স্থানীয় রঘুনাথপুর গ্রামের সুভাস মল্লিকের ছেলে।
উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন তহবিলের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শ্যামল ট্রেডিং এই কাজ করছে। খেদাপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১০০ দশমিক ৫ মিটার ইটের সলিংয়ের কাজ শুরু হয় আজ সকালে। এর মধ্যে টেংরামারী বাজারে ৪৬ দশমিক ৫ মিটার ও মামুদকাটি গ্রামে জিয়ার বাড়ি থেকে সিরাজ ব্যাপারীর বাড়ির অভিমুখে ৫৪ মিটার রাস্তা রয়েছে। ঠিকাদার জুয়েল মল্লিক নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ দুটি করাচ্ছিলেন। পরে বাজারের লোকজনের বাধার মুখে দুপুরে ইট তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
স্থানীয় শাহাজান আলী বলেন, ‘দূরের ইটভাটা থেকে নিম্নমানের ইট এনে ঠিকাদার টেংরামারী বাজারে ও জিয়ার বাড়ির সামনে কাজ করাচ্ছিলেন। আমরা ইটের মান নিয়ে কথা বলতে ঠিকাদার আমাদের ওপর চড়াও হন। পরে প্রাথমিকভাবে রাস্তার কাজের ইট নিম্নমান প্রমাণিত হয়। তখন বাজারের লোকজনের তোপের মুখে পড়েন ঠিকাদার। এর পরপরই ট্রলিতে করে ঠিকাদারের লোকজন ইট তুলে নিয়ে গেছেন।’
টেংরামারী বাজার কমিটির সভাপতি শাহা আলম বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানমকে অনুরোধ করা হলে তিনি বাজারের রাস্তা সলিং করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। সকালে ঠিকাদারের লোকজন কোনো রকম বালু ছিটিয়ে ইটের সলিংয়ের কাজ শুরু করে। আমি বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি সরেজমিন কাজ দেখতে আসেন।’
ঠিকাদার জুয়েল মল্লিক বলেন, ‘আমি ভাটা থেকে ১ নম্বর ইট কিনেছি। নিজ এলাকায় আমি খারাপভাবে কাজ করাতে চাই না। মান নিয়ে কথা ওঠায় টেংরামারী অঞ্চলের দুই স্থান থেকেই ইট তুলে নিয়েছি। দ্রুত ভালো ইট দিয়ে কাজ শুরু করব।’
উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ দাস বলেন, ‘কোনোভাবে নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তায় কাজ করানো যাবে না। এই বিষয়ে আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’