নানা অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুর ইসলামের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান ফটক আটকে অবস্থান নেন তারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী ও ড. মোহা. খাইরুল ইসলাম। প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রস্তাব দেন এবং ফটক খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা ফটক না খুলে বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
দেড় ঘণ্টা প্রধান ফটক আটকে রাখার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মাদ নসরুল্লাহর সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক, পরিবার ও চেহারা নিয়ে প্রতিনিয়ত বাজে মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাফিজ স্যার আমাদের পোশাক, চলাফেরা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটর করে ক্লাসে অপমান করেন। আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকিও দিয়েছেন। তার অপসারণ চাই, তিনি শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন।’
বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘হাফিজ স্যার শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালি দিতেন। আমাকে নিয়মিত ড্রেস নিয়ে কথা বলতেন এবং আমাকে হয়রানির জন্য ১০০ পৃষ্ঠার অ্যাসাইনমেন্ট করিয়ে জমা নেননি।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। আমি খুব দ্রুত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করব।’