খুলনা জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন হাজতিকে ঢাকার হাইসিকিউরিটি কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার সকালে পুলিশ পাহারায় প্রিজন ভ্যানে তাদের তিনজনকে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে, তাদের তালিকা পরবর্তী সময়ে ঢাকায় পাঠানো হবে বলে কারা সূত্রে জানা গেছে।
খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মুনীর হুসাইন বলেন, গতকাল শনিবার বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেনেড বাবু ‘বি’ কোম্পানির সদস্য লাল সাকিবের সঙ্গে অন্য সন্ত্রাসী পলাশের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পলাশকে তারা মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারাগারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় কারা কর্তৃপক্ষ। তখন উভয় পক্ষকে শান্ত করার জন্য মৃদু লাঠিপেটা করা হয়। পরবর্তী সময়ে পাগলা ঘণ্টা বাজানো হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জেলার মুনীর হুসাইন আরও বলেন, কারাগারের ভেতরের মারামারির ঘটনা রাতে কারা হেড কোয়ার্টারকে অবগত করা হয়। এ ঘটনায় কয়েকজনের নামের তালিকা তৈরি করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আসামিদের পাঠানোর কথা জানানো হলে প্রাথমিক পর্যায়ে সকালে কালা তুহিন, গ্রেনেড বাবুর ছোট ভাই রাব্বি এবং জিতুকে পুলিশ পাহারায় প্রিজন ভ্যানে ঢাকার উদ্দেশে পাঠানো হয়। নামের তালিকায় অন্য যারা রয়েছে, পরবর্তী সময়ে তাদেরও ঢাকায় পাঠানো হবে।
মুনীর হুসাইন বলেন, ‘শনিবারের ঘটনায় যারা কারাগারের শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছে তাদের বিরুদ্ধে এখনো আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কারাবিধি অনুযায়ী যেসব ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রয়েছে, আমরা সেগুলো নেব।’