বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসানসহ স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন, রাজনীতিবিদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা।
গত ৫ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন মাস রাজাধানী ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন আবদুল্লাহ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত আবদুল্লাহ বেনাপোল পৌরসভার বড় আঁচড়া গ্রামের জব্বার আলীর ছেলে। তিনি সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পলিটিক্যাল সায়েন্সের ছাত্র ছিলেন। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট আবদুল্লাহ। বড় ভাই বাবু ও মেজ ভাই মিঠু ট্রাকশ্রমিক। বোন শ্বশুরবাড়িতে। বাবা বন্দরশ্রমিক।
এদিকে আবদুল্লাহর মৃত্যুর খবরে গতকাল বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌ, পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন তাঁর বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সান্ত্বনা দেন। এ সময় বেনাপোল পৌরসভার পক্ষ থেকে ২৫ হাজার ও জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ হাজার টাকা সহযোগিতা করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা।