খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষকদের লাঞ্ছনার ঘটনায় সাতটি অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করাসহ মোট সাতটি অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে তাঁদের আগামী ১৫ মে বিকেল ৫টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সময়মতো জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে একাডেমিক কার্যক্রম চালু হলেও ষষ্ঠ দিনেও ক্লাসে ফেরেননি শিক্ষকেরা। তাঁদের দাবি, শিক্ষকদের লাঞ্ছনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেবেন না।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দাবি মানা হলে আমরা সাধারণ সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। দাবি পূরণ না হলে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকেও বিরত থাকব।’
অভিযোগ অস্বীকার করে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, শোকজ হওয়া ৩৭ জনের বেশির ভাগই সাধারণ শিক্ষার্থী। তাঁরা কেবল উপাচার্য অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনায় জড়িত ছিলেন না।
১৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর থেকে বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা। সেশনজট বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কুয়েটের ৭ হাজার ৫৬৫ শিক্ষার্থী।