উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) বিএ/বিএসএস পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর প্রক্সি দিতে গিয়ে এক ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক হয়েছেন। পরে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্ত সালমা খাতুন (২৪) উপজেলার রাধিকাগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, আজ সকালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিএ/বিএসএসের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু। কিন্তু তাঁর পরিবর্তে পরীক্ষার হলে প্রক্সি দিচ্ছিলেন আরেক নারী সালমা খাতুন। বিষয়টি টের পেয়ে সালমা খাতুনকে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
খবর পেয়ে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০-এর ৩ ধারা অনুযায়ী ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জেল ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ভুয়া পরীক্ষার্থীকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। আর যিনি প্রকৃত পরীক্ষার্থী তাঁকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এদিকে এ ঘটনায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত পরীক্ষার্থী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।