বাগেরহাটে উপকূল জুড়ে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বাগেরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রথমে গুঁড়ি গুঁড়ি, পরে দমকা হাওয়াসহ মুষলধারে বৃষ্টি হয়।
বাগেরহাট সদর ছাড়াও ফকিরহাট, মোংলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জসহ উপকূল জুড়ে বৃষ্টির হয়। সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৃষ্টিতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে। হত দরিদ্র যেসব পরিবার ঘর সংস্কারের কাজ করছে তারা পড়েছেন বিপাকে। তবে ফাগুনের শুরুর এই বৃষ্টিতে ধান, আম, পানসহ বিভিন্ন ফসলের উপকার হবে বলে ধারণা কৃষকদের।
মো. রুস্তম আলী শেখ নামে এক কৃষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফাল্গুন মাসে বৃষ্টি হওয়া ফসলের জন্য খুবই ভালো। আজকের বৃষ্টিতে ধান, পান, সরিষাসহ সব ধরনের ফসলের উপকার হবে। এই বৃষ্টির পানিতে সারের থেকে বেশি কাজ হয়েছে।’
আলমগীর শেখ নামের এক রিকশা চালক বলেন, ‘হঠাৎ বৃষ্টিতে বিপাকে পড়ে গেলাম। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে কোনো লোক নাই রাস্তায়।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের উপপরিচালক শংকর কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃষ্টিতে বাগেরহাটের মাঠ-ঘাটে থাকা ধানসহ বিভিন্ন ফসলের উপকার হবে। এই সময়টায় যেমন সূর্যের তাপ বেশি থাকে, আবার পানি সংকটও থাকে। সেই কারণে বৃষ্টি হলে কৃষকদের ওপর চাপ অনেক কমে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ফসলের ফলন বেশি হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।’