হোম > সারা দেশ > কুষ্টিয়া

কুমারখালীর সেই স্কুলে অস্থায়ী যোগদান করলেন ২ শিক্ষক

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের ৬৭ নম্বর পীতাম্বরবশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক পদের সংখ্যা সাতটি। কাগজে কলমে বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছে ৪ জন। কিন্তু স্কুলে নিয়মিত আসেন মাত্র দুজন সহকারী শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে একজন রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে। আর এই দুই শিক্ষকের বিপরীতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩০ জন। তাই আজ রোববার বিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে আরও দুজন শিক্ষকের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান। 

নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা হলেন, রাবেয়া খাতুন ও বাকীউজ্জামান। তাঁদের মধ্যে সহকারী শিক্ষক রাবেয়া খাতুন পান্টি ইউনিয়নের ডাঁসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাকীউজ্জামান একই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। 
 
জানা যায়, গত ২ অক্টোবর আজকের পত্রিকার সংবাদপত্র ও অনলাইনে '২৩০ শিক্ষার্থীর ২ শিক্ষক' শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশের পর ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয় নজরে আসে সংশ্লিষ্টদের। এরপর আজ অস্থায়ীভাবে রাবেয়া খাতুন ও বাকীউজ্জামান নামে দুজন শিক্ষকের নিয়োগ দেওয়া হয়। 

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯১৯ সালে প্রায় ১২৬ শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩০ জন। বিপরীতে শিক্ষক ছিল মাত্র দুজন। তাঁদের মধ্যে একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককের দায়িত্ব পালন করেন। যদিও স্কুলে শিক্ষকের পদ রয়েছে ৭ টি। কিন্তু কাগজে কলমে শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন। 

বিদ্যালয়ের কাগজে কলমে থাকা আরেক সহকারী শিক্ষক কোহিনুর খাতুন। তিনি চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে রয়েছেন পিটিআই প্রশিক্ষণে। অপর সহকারী শিক্ষকের নাম মাহজুবা উম্মে ফেরদৌস। তিনি ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদানের ৩ বছর পরে ২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর ৬ মাসের জন্য মাতৃকালীন ছুটিতে যান তিনি। এরপর ২০১৭ সালের ১৮ মে পুনরায় বিদ্যালয়ে যোগদান করে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত নানান অজুহাতে মেডিকেল ও সিএল ছুটি কাটান। পরে ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর থেকে বিনা বেতনে ছুটিতে যান তিনি। 

সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষক অফিস কক্ষের বারান্দায় দাপ্তরিক কাজ করছেন। আর সদ্য অস্থায়ী যোগদানকৃত বাকীউজ্জামান তৃতীয় শ্রেণিতে গণিত বইয়ের পাঠদান করাচ্ছেন। 
 
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। ১২ বছর ধরে নেই প্রধান শিক্ষক। পত্রিকায় লেখালেখির পর দুজন শিক্ষক অস্থায়ীভাবে যোগদান করেছেন। এখন আমরা খুব খুশি। তবে খুশি ধরে রাখতে স্থায়ী নিয়োগ দরকার। 

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি ওই বিদ্যালয়ের ক্লাস্টার এটিও। দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট ছিল। এখন অস্থায়ীভাবে আরও দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চারজন শিক্ষক আছে।  

আরও পড়ুন:

খুবির প্রথম বর্ষের চার ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

খুলনায় সকাল থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু

ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

খুলনায় দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত

খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতাকে গুলি: সহযোগীসহ শুটার ঢাকাইয়া শামীম গ্রেপ্তার

মাগুরা-২: রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হকের

খুলনায় মা হত্যায় ছেলে গ্রেপ্তার

খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতাকে গুলি: যুবশক্তির সেই নেত্রী কারাগারে

খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতা মোতালেব হত্যার চেষ্টা: মামলা ডিবিতে, গ্রেপ্তার তন্বি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার দাবি

খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় মামলা