হোম > সারা দেশ > কুষ্টিয়া

পুলিশের ধাওয়া খেয়ে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ধাক্কা, মোটরসাইকেলচালক নিহত 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় পুলিশের চেকপোস্ট দেখে পালানোর সময় অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আসিফ (২০) নামের এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের ধাওয়ায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তারা বলছে, চেকপোস্ট দেখে পালানোর সময় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

আজ শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা সড়কের আইলচারা ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আসিফের সঙ্গে থাকা তাঁর খালাতো ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন। 

নিহত আসিফ চুয়াডাঙ্গা জেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের কবিখালী খালপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। 
দুর্ঘটনায় আহত খালাতো ভাই আকিবকে (২১) আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আসিফের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, আসিফ ও আকিব চুয়াডাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেলে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়নের বল্লভপুর মাঠপাড়া এলাকায় তাঁর চাচাতো বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসছিলেন। দাওয়াত খেয়ে দুপুরে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। 

শামীম আহম্মেদ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা সড়কের স্টিল ব্রিজের কাছে মাঝেমধ্যেই চেকপোস্ট বসায় হালসা ও পাকিটাবাড়ী ক্যাম্পের পুলিশ। আজও সেখানে তারা চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন ধরনের গাড়ির কাগজ চেক করছিল। দুপুরের দিকে একটি মোটরসাইকেলে দুই যুবক কুষ্টিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গার দিকে যাওয়ার সময় চেকপোস্ট দেখে তাদের মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের পেছনে ধাওয়া দেয়।’ 

শামীম আহম্মেদ আরও বলেন, কিছু দূর যাওয়ার পর বাগডাঙ্গা মোড়ের কাছে দুই যুবকের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ধাক্কা খান। এতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। 

স্থানীয় ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলটি সদর থানার ভেতর। আজ সেখানে মিরপুর থানার আওতায় হালসা ক্যাম্প পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছিল। তাঁর দাবি, পুলিশ পেছন থেকে ধাওয়া দেওয়ার কারণে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। 

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে হালসা ক্যাম্পের এএসআই শরিফুল ইসলাম বলেন, তাঁরা পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের পেছনে কেউ ধাওয়া করেননি। 

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের মধ্যে আসিফের মৃত্যু হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই হয়েছে। আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থাও গুরুতর।’ 

এ ব্যাপারে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই রাস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটে। সে জন্য সদর, ইবি ও মিরপুর থানার আওতায় হালসা ক্যাম্প পুলিশ দিন ভাগ করে যৌথভাবে টহল দিয়ে থাকে। তারই অংশ হিসেবে আজ হালসা ক্যাম্প পুলিশ ব্রিজের কাছে তল্লাশি চালাচ্ছিল।’

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে না গেলেও শুনেছি যে চেকপোস্টে পুলিশ দেখে ওই দুই যুবক পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের সন্দেহ হলে পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দেয়। এই ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সটির চালককে আটক করা হয়েছে।’

খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতাকে গুলি: যুবশক্তির সেই নেত্রী কারাগারে

খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতা মোতালেব হত্যার চেষ্টা: মামলা ডিবিতে, গ্রেপ্তার তন্বি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার দাবি

খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় মামলা

মেহেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

খুলনায় পুলিশের সোর্স সন্দেহে বাড়ি থেকে ডেকে যুবকের দুই হাতের কবজি কর্তন

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: রহস্য উদ্‌ঘাটনে এক তরুণীকে খুঁজছে পুলিশ

খুলনায় শ্রমিক শক্তি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় জামায়াত সেক্রেটারির উদ্বেগ

খুলনায় গুলিবিদ্ধ এনসিপি নেতা শঙ্কামুক্ত

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ