নড়াইলের লোহাগড়ায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার লোহাগড়া নালিশি আদালতে কাজী আল মামুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন, পরে আদালত পরোয়ানা জারি করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম এস এম মুরাদুজ্জামান। তিনি উপজেলার লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, লোহাগড়া পৌরসভার খলিশাখালী গ্রামের বাসিন্দা ও লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক কাজী আল মামুনের চাকরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে তদবির করে স্থায়ী করে দেবেন বলে প্রধান শিক্ষক এস এম মুরাদুজ্জামান ২ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে সমঝোতা মতে, প্রধান শিক্ষক তিন কিস্তিতে বাদী কাজী আল মামুনের কাছ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
কিন্তু দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও চাকরি দিতে না পারায় প্রধান শিক্ষক টাকা ফেরত দিতে সম্মত হন। টাকা না দিয়ে আজ–কাল করে ঘোরাতে থাকেন। বাদী টাকার জন্য চাপ দিলে প্রধান শিক্ষক তাঁকে খণ্ডকালীন শিক্ষক থেকে বাদ দেন এবং টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় বাদী আদালতে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক এস এম মুরাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই শিক্ষকের কাছ থেকে আমি কোনো টাকা নেই নাই। তাঁর চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আমার কোনো কথাও হয়নি। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক খণ্ডকালীন শিক্ষক থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।’