নিরাপদ খাবারসহ ৩টি দাবিতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের তালা দেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের আড়াই ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর শিক্ষার্থীদের আগামীকাল মঙ্গলবার প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাব পেয়ে আন্দোলনকারীরা প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে প্রধান ফটক ছেড়ে দেন।
আন্দোলনরত বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—নিম্নমানের খাবারের সমস্য নিরসন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি ও ধীর গতির ওয়াইফাই সংযোগের পরিবর্তন।
এদিকে প্রধান ফটক আটকে দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো আটকে পড়ে। ফলে বিকেলের নির্ধারিত বাসগুলো ক্যাম্পাস থেকে বের হতে হতে পারেনি। নির্ধারিত সময়ে বাস না চলায় প্রায় এক হাজার সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
আন্দোলনকারীদের বাধা পেয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মেইন গেটের পাশের থানা গেট দিয়ে বের হতে দেখা গেছে। এ সময় তাঁদের চোখে-মুখে স্পষ্ট বিরক্তির ছাপ ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজা কুমার বলেন, ‘প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে বাস ছেড়ে যায়। আমরা মেসে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করি। আজকে বাস আটকে পড়ায় আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি। পেটে ক্ষুধা, কাছে নেই টাকা।’
এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাস আটকে রেখে আন্দোলনের কোনো মানে হয় না। কোনো দাবি থাকলে কথা বলার জন্য নির্দিষ্ট সেল আছে। এভাবে সবাইকে ভোগান্তিতে ফেলা উচিত নয়। এটা এক প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমি মনে করি এটা সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘আমরা সবাইকে জানিয়েছি বিষয়টা। আলোচনা করছি। আগামীকাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে সমাধানের পথ খোঁজা হবে।’