কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভাবিকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অপরাধে শুকুর আলী (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে ঘটে যাওয়া এ হত্যাকাণ্ডের ৯ বছর পর এ রায় দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জজ আদালতে পিপি অনুপ কুমার নন্দী।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শুকুর আলী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পশ্চিম রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি শুকুর আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২০ মার্চ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে আপন বড় ভাই আব্দুল জলিলের স্ত্রী রওশনারাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে শুকুর আলী। এই ঘটনায় দিনই নিহতের বড়ভাই আজগর আলী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর আদালতে মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফয়সাল হোসেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জজ আদালতে পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, হত্যা মামলায় শুকুর আলী নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় মামলার আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।