হোম > সারা দেশ > খুলনা

৪ মাসেও কাজ মেলেনি, মালয়েশিয়ায় থাকা-খাওয়ার কষ্টে আছেন অর্ধশতাধিক যুবক

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর প্রায় চার মাসেও কাজ পাননি মেহেরপুরের গাংনীর অর্ধশতাধিক যুবক। উল্টো একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে তাঁদের। যেখানে খাবার পানি সংকটসহ অনাহার-অর্ধাহারে তাঁদের দিন পার হচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে এসব প্রবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের স্বজনেরা এই তথ্য জানতে পেরেছেন।

ধারদেনাসহ সহায়-সম্বল বিক্রি করে তাঁরা দালালদের হাতে ৫-৬ লাখ টাকা তুলে দিয়েছিলেন। কেউ জমি বন্ধক রেখে, কেউ সুদে নিয়ে, কেউ বা ঋণ নিয়ে দালালদের এসব টাকা দেন। যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল, তারা এখন বাড়ি এসে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানায়, উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের কেএনএসএইচ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক মো. মাজেদুল মাস্টার, এইচবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজু আহমেদ, কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য শরিফুল ইসলাম ন্যাড়া, সাহেবনগর গ্রামের সুরুজ আলীসহ কয়েকজন দালাল চক্রের সদস্য মুসা কলিমের মাধ্যমে বিদেশের জন্য টাকা জমা দেন। ঢাকায় নাভিরা ও মুসাকলিম এন্টারপ্রাইজ এজেন্সির মাধ্যমে টাকা দিয়ে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়। গত তিন-চার মাসেও তারা কোনো কাজ পাননি। দালাল চক্রের পক্ষ থেকে প্রথমে খাবার ও পানি দেওয়া হলেও এখন তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

স্বজনদের অভিযোগ, গত বছরের ৬ নভেম্বর একটি ফ্লাইটে ৫৪ জন মালয়েশিয়ায় যান। সেখানে নামার পর এজেন্সির লোকজন গাড়িতে করে একটি ভবনে নিয়ে তাঁদের পাসপোর্ট কেড়ে নেয়। এরপর গাদাগাদি করে কয়েকটি কক্ষে তাঁদের রাখা হয়।

প্রবাসী জহিরুল ইসলামের বাবা ইসরাফিল হক বলেন, ‘আমরা প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি এক জায়গায় বসে সিদ্ধান্ত নেব। যারা প্রবাসে এক জায়গায় বন্দী রয়েছে, তাদের কষ্টের কথা বর্ণনা করে শেষ করার মতো নয়। সন্তান কষ্টে থাকলে বাবা কখনো ভালো থাকতে পারে না।’

প্রবাসী জুলহাসের স্ত্রী শারমিনা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামীসহ সবাই খুব কষ্টের মধ্যে দিন পার করছেন। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বসে যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব।’

এ ব্যাপারে কথা বলতে দালাল চক্রের সদস্যদের বাড়ি গিয়েও তাঁদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

দালালদের খোঁজখবর নেওয়া ও অসহায় পরিবারগুলোকে আইনগত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিতম সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। যারা দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত, তারা দোষী প্রমাণিত হলে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।’

বন্দিবিনিময় চুক্তি: ভারত থেকে এল ৩২ জেলে, ফিরে গেল ৪৭ জেলে

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা

নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কুকুরের কামড়ে আহত গণসংহতি আন্দোলনের নেতা

খুলনায় গলায় ফাঁস দিয়ে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা

জামায়াতের কৃষ্ণের চ্যালেঞ্জ অনেক

প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার: হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে সড়ক অবরোধ

‘আদালতে হাজিরা দিতে এসে লাশ হয়ে ফিরলে কার কাছে বিচার চাইব’

খুলনায় জোড়া খুন: আসামিদের ভয়ে সন্ত্রস্ত পরিবার, পুলিশের মামলা অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে

পূর্ব সুন্দরবনে অভয়ারণ্যের খালে মাছ ধরার অভিযোগে ১০ জেলে গ্রেপ্তার