কারাগারে থাকা অবস্থায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তোফায়েল আহাম্মদের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন হার্ট অ্যাটাক তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আজ সোমবার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এরপর বিকেল ৩টার সময় উজলপুর গ্রামের ইদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। তোফয়েল আহম্মদ উজলপুর গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেলে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ বলেন, চেক ডিজঅনার মামলায় আড়াই মাসে আগে তোফায়েলকে ৮ মাসের কারাদণ্ড দেন বিচারক। তারপর থেকেই কারাগারে ছিলেন তিনি। রোববার সন্ধ্যায় কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারা কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নেয়নি। অবস্থা খারাপ হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এটি একটি পরিষ্কার হত্যাকাণ্ড।
জেলা বিএনপির সভাপতি আরও বলেন, ‘সারা দেশে কারাগারে অসংখ্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে হত্যা করা হচ্ছে। তেমনিভাবে তোফায়েলকেও কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। এখন আমরা আইনগত প্রক্রিয়ার কথা ভাবছি। পরিবারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আইনগত দিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে। সারা দেশে কোথাও বুলেটের আঘাতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রাণ দিতে হচ্ছে, আবার কাউকে কারাগারে চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারাতে হচ্ছে।’
এ নিয়ে মৃত বিএনপি নেতার মেয়ে তোছফি জানান, তাঁর বাবাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারণ বাবা একজনের সঙ্গে সুদের টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা অনেক আগেই পরিশোধ করেছে। কিন্তু তাদের কাছে ফাঁকা চেক থাকায় ইচ্ছেমতো টাকার অঙ্ক বসিয়ে চেক ডিজঅনারের মামলা করেছে। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহাবুবুল হাসান মেহেদি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাঁর হার্টঅ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে জেল সুপার মোখলেছুর রহমান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারাগারে তার প্রতি কোনো অবহেলা করা হয়নি। অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি বিএনপি কর্মী কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানা ছিল না বলে।