কুষ্টিয়া মহাসড়কে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও ১৪ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হল-দৌলতপুর উপজেলার শশিধরদিয়া গ্রামের বাড়ি সদ্দারের ছেলে গাফফার সদ্দার, তাঁর ভাই ইনতা সর্দ্দার, আজিল প্রামাণিকের ছেলে ছানু প্রামাণিক ও নওগাঁর সাপাহার থানার তাতেল গ্রামের মফিজুলের ছেলে এনদাল (৪২)।
আহতরা হলেন-আসাদুল (৪৪), রবিউল (৩৫), শিহাব (৫০), সুইট (৩০), মুন্না (৩৫), সাইদুল (৩০), মোজাম হোসেন (৪০) ও আজিজুল (৩৮)। বাকি আহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তাঁদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ভটভটিতে করে গরু কিনতে ব্যাপারিরা কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগরে যাচ্ছিল। অপরদিকে, নওগাঁ থেকে কয়েকজন ব্যাপারী ট্রাকের ছাদে করে পেঁয়াজ কিনতে একই এলাকায় যাচ্ছিল। পরে রাত পৌনে ৪টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের আলাউদ্দিন নগরে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভটভটিকে ধাক্কা দিয়ে খাদে পড়ে যায় ট্রাকটি। এ সময় ভটভটি ছিটকে ওই ব্যাটারিচালিত ভ্যানের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে ভটভটির তিন যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় আরও ৮ জন আহত হয়েছেন।
আল-আমিন নামে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক জানান, তিনি ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে আসছিলেন। আলাউদ্দিন নগরের পাশে একটি ভ্যানকে সাইড দিতে গিয়ে একটি ট্রাক ইঞ্জিনচালিত ভটভটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ভটভটি ধাক্কা খেয়ে ভ্যানের ওপর আছড়ে পড়ে। এ সময় ভটভটি যাত্রীরা মারা যান। পরে আহতদের তাঁর অ্যাম্বুলেন্সে করেই হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী বলেন, ‘দুটি ঘটনাই ঘটেছে ট্রাকের সঙ্গে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে অন্ধকারে চালকেরা দেখতে না পেয়ে অন্য যানবাহনে ধাক্কা দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময় চালক তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিল।’
দুটি দুর্ঘটনায় নিহত ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।