কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের অধিকাংশ নেতার বিরুদ্ধে বিবাহিত, চাকরিজীবী ও নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠেছে। ফলে ক্যাম্পাসে চলমান কোনো কর্মসূচি তেমন একটা পালন করতে দেখা যায়নি সাংগঠনের নেতা-কর্মীদের।
এর আগে ১১ বছর পর ২০২১ সালের জুনে মোহা. সাহেদ আহম্মেদকে আহ্বায়ক ও মাসুদ রুমি মিথুনকে সদস্যসচিব করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। তিন মাস মেয়াদের ওই কমিটির বয়স দুই বছরের বেশি হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিটি গঠনের সময় যোগ্য ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। ফলে শাখা ছাত্রদলের দুরবস্থা। নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে ছাত্রদলকে সতেজ করা প্রয়োজন।’
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদনের পরপরই অসন্তোষ দেখা দেয় একাংশের নেতা–কর্মীদের মধ্যে। এ সময় কমিটিতে থাকা ১৮ সদস্যে বিরুদ্ধে ওঠে নানা ধরনের অভিযোগ। ফলে ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়।
কমিটিতে বিবাহিত আছেন যুগ্ম আহ্বায়ক আবু দাউদ, নৌশিন তাবাসসুম ও সদস্য মাহমুদুল হাসান। অপরিচিত হিসেবে স্থান পেয়েছেন যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন হোসাইন, সদস্য রাজু আহমেদ, সম্রাট হোসাইন, সানজিদা ইসলাম ও রুনা খাতুন।
নিষ্ক্রিয় আছেন যুগ্ম আহ্বায়ক শাহানুর হোসেন, ওমর শরীফ, সবুজ হোসেন, লিমন হোসাইন, মেহেদী হাসান হিরা, মনিরুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম, সদস্য জিতু আহসান, ওসমান আলী ও রাফসান জনি শাওন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কর্মী জনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিটি গঠনের পর অনেককে আজও চোখের দেখা দেখতে পাইনি। বেশির ভাগ ক্যাম্পাস ছেড়ে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলকে নিষ্ক্রিয়দের ব্যাপারে জানিয়েছি। এ বিষয় তাঁরা দেখবেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। ক্যাম্পাসে প্রোগ্রাম করতে গিয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাই ক্ষমতাসীনদের মতো ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রোগ্রাম করতে পারছি না।’