খুলনায় কলেজশিক্ষক চিত্তরঞ্জন হত্যা ও ডাকাতির মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাজু মুন্সি ওরফে গলা কাটা রাজুকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকার আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার গলাকাটা রাজু নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পাঁচ কাউনিয়া গ্রামের মো. ইকরামুল মুন্সির ছেলে।
র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মো. সারোয়ার হুসাইন বলেন, নগরীর সদর থানার আমতলা মোড়ে সপরিবারে বসবাস করতেন কলেজশিক্ষক চিত্তরঞ্জন। ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রতিদিনের মতো কাজ শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসায় ফেরেন। ওই দিন রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বাসার জানালার গ্রিল কেটে ডাকাতদল ভেতরে প্রবেশ করে।
গৃহকর্তা চিত্তরঞ্জন ডাকাত দলকে বাধা দিলে তারা তার হাত, পা ও মুখ বেঁধে হত্যা করে লাশ খাটের ওপর ফেলে রাখে। পরে তারা ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহত চিত্তরঞ্জনের ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা ও ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
মামলার বিচারকাজ শেষে ২০২১ সালের ১১ মার্চ খুলনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত গ্রেপ্তার পলাতক আসামি রাজু মুন্সি ওরফে গলা কাটা রাজুকে আজ (রোববার) সকালে খুলনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে খুলনা সদর থানা-পুলিশ স্ত্রী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. মনিরুজ্জামানকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার রাতে পুলিশ নগরীর রূপসা চানমারি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মনিরুজ্জামান নগরীর চানমারি এলাকার ডা. আলতাফ হোসেন লেনের মো. মোফাজ্জেল হোসেন খানের ছেলে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন আসামি মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।