বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের বাস চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভারতফেরত পাসপোর্টধারীরা। তবে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক রয়েছে বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
আজ রোববার সকাল থেকে কোনো বাস ছাড়েনি বেনাপোল বন্দর থেকে।
ভারতফেরত পাসপোর্টযাত্রী রহিম জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। আজ সকালে দেশে ফিরে দেখেন বিএনপির ডাকা হরতালের কারণে বেনাপোল বন্দর থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়ছে না। এতে পরিবার নিয়ে আটকা পড়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
ব্যবসায়ী আব্বাস হোসেন জানান, জরুরি কাজে ঢাকায় যাওয়া দরকার। হরতাল করে রাস্তাঘাট, যানবাহন বন্ধ করে মানুষের দুর্ভোগ না বাড়িয়ে বিরোধী দলকে বিকল্প পথে দাবি আদায়ের অনুরোধ জানান তিনি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহসভাপতি কামাল হোসেন বলেন, হরতালে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোলে এক পরিবহন কাউন্টারের ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম জানান, হরতালের কারণে কোনো বাস আপাতত ছাড়া হচ্ছে না। পরে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে ছাড়া হবে। ভারতফেরত যাত্রীরা বর্তমানে কাউন্টারে অপেক্ষা করছেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, হরতালের সমর্থনে বেনাপোল বন্দরে রাস্তায় কাউকে নামতে দেখা যায়নি। নাশকতা এড়াতে শহরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, হরতালের মধ্যেও বেনাপোল বন্দরে দিয়ে আমদানি-রপ্তানি সচল আছে। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে বন্দরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার রাখা হয়েছে।