খুলনায় চার নারী চিকিৎসকের খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজ চিকিৎসকেরা হলেন ডা. লুইস, ডা. নাদিয়া মেহজাবিন তৃষা, ডা. মুত্তাহিন হাসান লামিয়া ও ডা. শর্মিষ্ঠা। এর মধ্যে ডা. শর্মিষ্ঠা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন। বাকিরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন।
গত শুক্রবার থেকে তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম।
নিখোঁজদের পরিবার দাবি করছে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি তাঁদের ধরে নিয়ে গেছে—থানা-পুলিশ থেকে তাঁদের এমনটিও জানানো হয়েছে।
তবে জানতে চাইলে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, চিকিৎসক নিখোঁজ বা আটকের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তাঁদের পরিবার কিংবা বিএমএ থেকে কেউ পুলিশকে নিখোঁজের বিষয়টি জানায়নি।
বিএমএর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মোহাম্মদ মেহেদী নেওয়াজ জানান, তাঁদের নিখোঁজের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এদিকে ডা. মুত্তাহিন হাসান লামিয়ার মা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, ‘নিখোঁজের পর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হরে জানানো হয়েছে, তাঁদের সিআইডি আটক করেছে।’
ডা. নাদিয়া মেহজাবিন তৃষার মায়ের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তৃষার ভাই পরিচয়ে একজন কল রিসিভ করে বলেন, ‘খুলনা সদর থানার ওসি জানিয়েছেন, সিআইডি তাঁদের নিয়ে গেছে।’
এর আগে গত শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে সিআইডি সদস্যরা এসে নিজ মালিকানাধীন থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের মালিক ও খুলনা জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস খান তারিমকে আটক করে নিয়ে যায়। নিখোঁজ চিকিৎসকদের ডা. তারিমের মেডিকেলে ভর্তির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করছেন অনেকে।