হোম > সারা দেশ > কুষ্টিয়া

ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, স্বজনদের হামলার ভিডিও ভাইরাল

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে কুষ্টিয়ায় বেসরকারি আদ্ দ্বীন হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আব্দুর রহমান নামে এক অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসককে মারধর করেছে ওই রোগীর স্বজনেরা। খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে। 

আজ সোমবার শহরের থানাপাড়ায় আদ্ দ্বীন হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। 

এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। চার মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন বিক্ষুব্ধ লোক এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি মারধর করছেন। দুজন নার্সসহ কয়েকজন ওই ব্যক্তিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। 

আব্দুর রহমান কুষ্টিয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়ার (অজ্ঞানকারী) সাবেক চিকিৎসক। অবসরে যাওয়ার পর তিনি বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের রোগীর অ্যানেসথেসিয়ার কাজ করেন। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শহরের থানাপাড়ার জিকে স্কুল এলাকার বাসিন্দা ফিরোজা খাতুনের পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচারের জন্য দুই দিন আগে আদ্ দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসক আমিরুল ইসলামের কাছে যান। পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে আজ সোমবার সকালে তাকে অস্ত্রোপচারের কথা জানান ওই চিকিৎসক। 

চিকিৎসকের কথা মতো গতকাল রোববার বিকেলের দিকে ফিরোজা খাতুন হাসপাতালে ভর্তি হন। আজ সকাল সাড়ে ৯টার সময়ে চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের কাজ শুরু করেন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে রোগীর রক্ত চাপ বেড়ে যাওয়ায় অপারেশন বন্ধ করে দেন তিনি। 

পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীকে পার্শ্ববর্তী মান্নান হার্ট হাসপাতালে পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখান নেওয়া পথেই রোগী ফিরোজা খাতুনের মৃত্যু হয়। 

এ সময় রোগীর স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে আদ্ দ্বীন হাসপাতালে আসে এবং চিকিৎসক আব্দুর রহমানকে সামনে পেয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে কুষ্টিয়া সদর থানা-পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

ফিরোজা খাতুনের ছেলে আসাদুল বলেন, ‘আমার আম্মুকে সুস্থ অবস্থায় অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যায়। তারপর আমি বাইরে থেকে ওষুধপত্র কিনে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন, রোগী অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে অস্ত্রোপচার করতে পারব না। তার পরক্ষণেই আমার আম্মু মারা যায়। ভুল কিছু হওয়ার কারণেই আমার মা মারা গেছে।’ 

হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আঁখি আক্তার বলেন, ‘প্রথমে আমরা রোগী নিয়ে আসলাম, রোগীর কোনো সমস্যার কথা আমাদের বলেননি, তিনি স্বাভাবিক ছিলেন, চিকিৎসকের সঙ্গে কথাও বলেছেন। ডাক্তার অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর সেচুরেশন কমে যায়। পরে আস্তে আস্তে আর শ্বাস নিতে পারছিল না। তখন অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখা হয়।’ 

শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ লাবণী আক্তার বলেন, ‘রোগী আমাদের এখানে মারা যায়নি। অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর শ্বাসকষ্ট হওয়ায় মান্নান হার্ট হাসপাতালে যাওয়ার পথে রোগী মারা যেতে পারে।’ 

এ বিষয়ে চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই রোগীর পেছনের হিস্ট্রি আমাদের কাছে গোপন করেছিল। তিনি যে নিয়মিত হার্টের রোগী এবং গত এক সপ্তাহ ধরে কোনো ওষুধ খায়নি সেটিও আমাদের জানায়নি।’ 

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া তিনি বেশ বয়স্ক ছিলেন। অস্ত্রোপচারের রোগীকে অ্যানেসথেসিয়া করা হয়েছিল। সামান্য কিছু সময়ের মধ্যে তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। সম্ভবত রোগীর বয়স বেশি হওয়ায় অথবা হার্টের সমস্যার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ 

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর কারণে হামলা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মডেল থানা-পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনো কোনো বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

খুলনায় দেশীয় অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ গ্রেপ্তার ৫

খুবির প্রথম বর্ষের চার ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

খুলনায় সকাল থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু

ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

খুলনায় দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত

খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতাকে গুলি: সহযোগীসহ শুটার ঢাকাইয়া শামীম গ্রেপ্তার

মাগুরা-২: রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হকের

খুলনায় মা হত্যায় ছেলে গ্রেপ্তার

খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতাকে গুলি: যুবশক্তির সেই নেত্রী কারাগারে

খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতা মোতালেব হত্যার চেষ্টা: মামলা ডিবিতে, গ্রেপ্তার তন্বি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার দাবি