ঝিনাইদহে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফল হয়েছেন কৃষকেরা। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ সংগ্রহ শুরু হয়েছে। উচ্চমূল্যের বাজারে পেঁয়াজ সংগ্রহ শুরু করায় খুশি কৃষকেরা। এ পেঁয়াজ বাজারে এলে দামে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে। গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি পেলে চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিকভাবে কৃষকেরা লাভবান হবে বলে মনে করছেন কৃষিসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কৃষকেরা।
জেলায় চাষ হওয়া গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এসব পেঁয়াজ কৃষকের মাঠ থেকে বিক্রয় করা হচ্ছে বলেও জানালেন কৃষি কর্মকর্তারা।
চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে জেলায় প্রণোদনার আওতায় সাড়ে তিন হাজার বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজের চাষ হয়। এর মধ্যে দুই হাজার বিঘা জমির পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। বাকি দেড় হাজার বিঘা জমির পেঁয়াজ ২০ থেকে ৩০ দিন পরেই সংগ্রহ শুরু হবে। চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে গড় ৪৫ থেকে ৫০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তারা।
কালীগঞ্জ উপজেলা ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের কালুখালী গ্রামের কৃষক মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন এন-৫৩ পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম। গত দুই দিনে ১৫ শতক জমি থেকে প্রায় ৩৫ মণ পেঁয়াজ বিক্রি করেছি।’
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. জাহিদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পেঁয়াজের অতিরিক্ত চাহিদা পূরণ করতেই গ্রীষ্মকালীন চাষ শুরু করেছে। আমরা চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে দুই ধাপে ৩ হাজার ৫০০ কৃষককে পেঁয়াজের বীজ প্রদান করেছিলাম। যে পেঁয়াজ এখন ওঠা শুরু করেছে। এতে কিছুটা হলে মানুষের চাহিদা পূরণে সহযোগিতা করবে বলে মনে করি।’