ঝড়ের কবলে পড়ে ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়া ৯০ জন বাংলাদেশি জেলের মধ্যে আরও ২৬ জন জেলেকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। গত ১ নভেম্বর ৪০ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এখনো ২৩ জেলে দেশে ফেরার অপেক্ষায় ভারতে আটক রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় ভারতীয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন প্রতিনিধিরা তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ সময় কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) শেখ মারেফাত তরিকুল ইসলাম ও রাসেল জোয়াদ্দারসহ দুই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক ও এনজিও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফেরত আসা জেলেদের বাড়ি বরগুনা ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। গত ১৮ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে ইলিশ শিকারে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে তারা ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়লে কোস্টগার্ড পুলিশের হাতে আটক হন।
দেশে ফেরত জেলেরা জানান, জীবিকার দায়ে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ শিকারে যায় বরগুনা ও পিরোজপুরের শতাধিক জেলে। হঠাৎ সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে ভাসতে ভাসতে ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ে তাদের ৯০ জন। প্রায় ২০ ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর ভারতীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ সময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে সমুদ্রে ভেসে যাওয়া জেলেদের আটক করে ভারতীয় কোস্টগার্ড পুলিশ। আটকদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক জেলের মৃত্যু হয়।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম জানান, ভারত-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে দ্বিতীয় ধাপে ২৬ জন জেলের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশের কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর আগে ৪০ জনকে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। বাকিদের খুব দ্রুত ফেরত আনা হবে।