খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের মির্জাপুর শ্মশান নামক স্থানে তেলবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা প্রসূতির জামাতা ও একজন রক্তদাতার মৃত্যু হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, গতকাল সাতক্ষীরা মেডিকেলে প্রসূতি ওই নারী তাঁর গর্ভের আরেক সন্তানসহ মারা যান। পরে রাতে খুলনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর জামাতা ও একজন রক্তদাতার মৃত্যু হয়েছে। গর্ভজাত সন্তানসহ দুর্ঘটনায় ঝরল পাঁচ প্রাণ।
নিহতরা হলেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খলিশানী গ্রামের আলাউল ইসলামের স্ত্রী তানজিলা খাতুন (৪০) ও তাঁর গর্ভজাত ও সদ্যভূমিষ্ঠ নবজাতক, তাঁর জামাতা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের নেছার উদ্দীনের ছেলে ডালিম হোসেন (৪০) এবং আশাশুনির উজিরপুর এলাকার রক্তদাতা তাজিজুল ইসলাম (২৭)।
গতকাল বুধবার আশাশুনি উপজেলার খলিশানী গ্রামের আলাউল ইসলামের স্ত্রী তানজিলা খাতুনের গর্ভের যমজ সন্তানের একটি ভূমিষ্ঠ হলেও আরেকটি না হওয়ায় তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নেওয়া হচ্ছিল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর জামাতা, দুজন রক্তদাতাসহ স্বজনেরা। বেলা ৩টার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাটকেলঘাটা মির্জাপুর শ্মশান এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান প্রসূতি নারী এবং তাঁর গর্ভজাত ও সদ্যভূমিষ্ঠ কন্যাসন্তান।
এদিন হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকাত হোসেন মা ও নবজাতকের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। আহতদের উদ্ধার করে খুলনায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান। সেই সঙ্গে নিহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গাড়ি দুটি জব্দের বিষয়টিও জানান তিনি।