যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে নাশকতা মামলায় বিএনপির সাতজন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে পেট্রল বোমা, হাতবোমা, বাঁশের লাঠি, ইটের টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ৩৪ জনের নামে আজ সোমবার মামলা দায়ের হয়েছে।
আজ রোববার রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে সাত নেতাকে ধরা হয়েছে বলে স্বজনেরা জানান। তবে পুলিশের অভিযোগ, তাঁরা নাশকতার উদ্দেশ্যে সীমান্তে গোপন বৈঠক করছিলেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন বেনাপোল পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল আহাদ ও সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা এনামুল হক কাটিম, যুবদল নেতা জনি হায়দার, বিএনপি নেতা ওসমান গনি, যুবদল নেতা মুক্তার আলী, হাসান ইমান ও ইমদাদুল হক।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান, বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা নাশকতার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়ে গোপন বৈঠক করছেন এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও সাতজনকে ধরা হয়। তাঁদের কাছ থেকে পেট্রল বোমা, হাতবোমা, বাঁশের লাঠি, ইটের টুকরা পাওয়া গেছে।
ওই সাতজনসহ ৩৪ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের আজ দুপুরে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয় বলে জানান ওসি।