কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ওরফে নাসির ল্যাংড়া নামের এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
মৃত ব্যক্তি উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। নাউতি গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী বিশ্বাসের ছেলে তিনি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাসির উদ্দিন বিশ্বাস নিজ গ্রামের বাড়ি নাউতি এলাকা থেকে রাতে কুষ্টিয়া শহরের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের সৈয়দ মাসুদ রুমি সেতুর মাঝখানে তাঁকে ও তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ‘৯৯৯’–এ কল দিয়ে পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে দুর্বৃত্তের হামলা নাকি সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এ নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের ভাতিজা বাবু মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার চাচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া শিলাইদহ ঘাট ও বালুমহাল এবার চাচাই ইজারা পেয়েছিলেন। এ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনা হলে তো শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুলে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা নেই, শুধু বুকে আর মাথায় ছোলা।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই নাসির উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছিল। রাত সোয়া ১১টার দিকে তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে তাঁর বুক ও মাথায় জখমের দাগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি অনেক দূর ছেঁচড়ে গিয়েছিল। মাথায় হেলমেট ছিল না। মাথার পেছনে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।