কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ের ঘটনায় পাঁচজন বহিষ্কারকে একপেশে দাবি করে আন্দোলনে নেমেছেন সহপাঠীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো আটকা পড়ে। পরে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে আজ (মঙ্গলবার) ছাত্র শৃঙ্খলা সভায় নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হিশাম নাজির শুভ ও মিজানুর রহমান ইমনকে স্থায়ী এবং শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, ‘গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমানকে র্যাগিং ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার এক পক্ষের কথা শুনে আমাদের সহপাঠীদের বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছোটখাটো বিষয়ে স্থায়ী বহিষ্কারের মতো একটি বড় সিদ্ধান্ত দিয়েছে। ছোটখাটো বিষয়ে স্থায়ী বহিষ্কার অন্তত মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’
এ বিষয়ে ছাত্র শৃঙ্খলার সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্ত কমিটি র্যাগিং কাণ্ডের সত্যতা পাওয়ার পর ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনায় বসে ওদের কেন বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেবে। তার পর আবার ছাত্র শৃঙ্খলা সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে।’