চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ফন্টু মণ্ডল (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ফন্টু মণ্ডল আলমডাঙ্গা উপজেলার পোলবাগুন্দা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে অবৈধভাবে মেলামেশা করতেন ফন্টু মণ্ডল। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কলহ চলছিল। ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় ফন্টু মন্ডল স্ত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে তাঁর মরদেহটি একটি সেচ পাম্পের পাইপের ভেতর ফেলে দেন।
বাড়িতে না পেয়ে ডালিমা খাতুনকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারে। ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় দীর্ঘ সাত-আট ঘণ্টা চেষ্টার পর ২০ ফুট পাম্পের পাইপের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে জামিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ফন্টু মন্ডলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আশিকুল হক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল বাসার জানান, আজ ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারক।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হানিফ উদ্দিন বলেন, ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।