গ্রামবাংলার কৃষিজীবী মানুষের গোলার ধান বা শস্য রাখায় নিরাপদ পাত্র বাঁশের তৈরি ডোল বর্তমান প্রজন্মের কাছে অপরিচিত সামগ্রী। পাহাড়ি জনপদে বাঁশের আবাদ কমে যাওয়া এবং কৃষিজীবীরা আগের মতো গোলায় ধান না রেখে প্লাস্টিকের বস্তায় রাখার ফলে পাহাড়ি এলাকায়ও এখন এসব সহজলভ্য সামগ্রীর ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে। তারপরও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কেউ কেউ নিজেদের পেশার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ডোল বানিয়ে যাচ্ছেন। এক সপ্তাহ থেকে পনের দিনে একটি ডোল বানিয়ে বিক্রি করেন তাঁরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বুদংপাড়ার খিলঅং ত্রিপুরা নামের একজনকে ডোল নিয়ে বাটনাতলী বাজারে যেতে দেখা গেছে। এ সময় খিলঅং ত্রিপুরা জানান, আগের মতো ডোলের চাহিদা নেই। এক পুরুষ সমান উচ্চতার একটি ডোল বানাতে সাত-আট দিন লেগে যায়। সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। তিনি আরও জানান, উপজেলার অনগ্রসর জনপদ বুদংপাড়া, সালদাপাড়ায় বয়োবৃদ্ধ কয়েকজন আগের পেশা ডোল বানিয়ে এখনো সংসারের অর্থ জোগান।