ঝিনাইদহে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে বর্তমান প্রধান শিক্ষকের মামলায় সাবেক প্রধান শিক্ষককে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ আলী এই রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের নাম মো. রনি আক্তার (৫০)। তিনি সদর উপজেলার অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন-সালেহা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এবং পার্শ্ববর্তী দুর্গা নারায়ণপুর পুটিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বাদী একই বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসরীন আক্তার। তিনি ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. রনি আক্তারের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদ জালিয়াতি করে চাকরির অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেন।
ঝিনাইদহ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মোক্তার হোসেন জানান, ২০২৪ সালের একটি মামলায় জাল সনদ প্রদান করে চাকরির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রনি আক্তারকে দুটি ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা করেছেন। অনাদায়ে দুটি ধারায় ৩ মাস করে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। উভয় সাজা একটির পর আরেকটি কার্যকর হবে বলেও তিনি আদেশে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল আলম রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, গত বছরের ১৪ নভেম্বরের মামলায় আজ রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় বেশি তাড়াহুড়ো করার দাবি করেন। তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানান।