গাজীপুরের শ্রীপুরে রাতে উড়ালসেতুর নিচে ঘুমাতে গিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে এক যুবককে অপরজন ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন।
এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক মো. জুয়েল রানার (২৫) বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটককৃতরা হলেন— রাকিব (২৫) ও মো. রবিন (২৭)।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, জুয়েল নামের ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক আটক দুইজনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে মাওনা চৌরাস্তা এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নিচে গল্প ছড়ার চা ঘর নামে একটি অস্থায়ী চায়ের দোকানের পাশে ঘুমাতে যান কয়েক যুবক। সেখানে পুরোনো ব্যানার-ফেস্টুন বিছানো নিয়ে জুয়েলের সঙ্গে রাকিব ও রবিনের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রাকিব উত্তেজিত হয়ে জুয়েলের বুকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে প্রথমে তাঁকে মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় টহলরত পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার তিন ঘণ্টার মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিস্তারিত পরিচয়ের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিটের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিহতের স্বজনদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।