সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে সড়কে। থাকে কমপক্ষে সপ্তাহ ধরে। আর যদি এর মধ্যে আবারও বৃষ্টি হয়, তাহলে দুর্ভোগের সময় বাড়ে আরও কয়েক গুণ।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলুটারি সড়কে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই দুর্দশার সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাদাযুক্ত বৃষ্টির পানি জমে আছে। সড়কের দুপাশে বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। কাদাযুক্ত ময়লা পানি মাড়িয়েই চলাচল করছে পথচারীরা। চলছে রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলও।
রাস্তার পাশের বাসিন্দা মো. আয়ুব আলী (৫১) বলেন, ‘তিন দিন আগে মাত্র ঘণ্টাখানেক বৃষ্টি হয়েছে। সেই পানি এখনো শুকায়নি। যদি নতুন করে আর কোনো বৃষ্টি না হয়, তবু এই সড়ক শুকাতে সময় লাগবে আরও কমপক্ষে ৪৫ দিন।’
স্থানীয় মায়ের দোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী মো. মতিয়ার রহমান (৪২) বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই এখানে হাঁটুপানি জমে। এর মধ্যে যদি নতুন করে আর কোনো বৃষ্টি না হয়, তাহলে রোদে শুকাতে সময় লাগে কমপক্ষে এক সপ্তাহ। আর এই কদিন লোকজন কম আসে দোকানে। পানি বের হওয়ার রাস্তা না থাকায় এ অবস্থা হচ্ছে।’
অটোরিকশাচালক মো. আতোয়ার রহমান (৪৮) বলেন, পূর্ব বাইপাস এলাকা থেকে পৌর ভবন ও উপজেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র শর্টকাট রাস্তা এটি। আর এ সড়কেই জলাবদ্ধতা থাকে। নিরুপায় আমরা। পানি আর কাঁদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হয় আমাদের।
সবুজ শিক্ষালয় ও গ্রীন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক মুহা. একরামুল হক বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানে বারো শতাধিক শিক্ষার্থী। ওই সড়ক ধরে শতাধিক শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। বৃষ্টি হলেই শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যায়। বিষয়টি সমাধানে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলেছি একাধিকবার। কোনো কাজ হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা প্রকৌশলী তপন চন্দ্র চক্রবর্তীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম। খোঁজ নিয়ে দেখছি। জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করা হবে।’