সুদানে নিহত শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার লাশ গাইবান্ধায় নিজ গ্রামে তাঁর বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভগবানপুর) গ্রামে জানাজার পর তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে বেলা ২টায় গাইবান্ধার তুলসীঘাটের হিলি প্যাডে সেনাবাহিনীর বহনকারী হেলিকপ্টারে করে সবুজের লাশ নিয়ে আসা হয়। এরপর সেখানে থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সবুজের গ্রামের বাড়ি আমলাগাছি (ছোট ভগবানপুর) গ্রামে গার্ড অব অনার ও রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়।
সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভগবানপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ও ছকিনা বেগমের ছেলে।
আমলাগাছি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে লোকজন ভর্তি। সবুজ মিয়ার মা ছকিনা বেগম ছেলের মৃত্যুতে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন তাঁর মাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। নিহতের স্ত্রী নূপুর আক্তার আহাজারি করছেন। তিনি বলেন, ‘বিয়ের মাত্র এক বছর আট মাস, তাতেই স্বামীকে হারালাম। আমার জীবনটাই শেষ হয়ে গেল। আমার সব শেষ হয়ে গেল।’
রংপুর সেনানিবাসের ক্যাপ্টেন মো. আলভী বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সবুজের মরদেহ যথাযথ মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হবে।’
উল্লেখ্য, ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিকস বেসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজন সবুজ মিয়া। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারীর দায়িত্ব পালন করছিলেন।