গোপালগঞ্জে গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়ায় সেকেন্দার শেখ (৩০) নামের এক চা-দোকানিকে খুনের ঘটনায় ২৯ বছর পর মফিজুর রহমান নামের এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী জেলা সদরের সজ্জনকান্দা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গোপালগঞ্জ সদরের কাঠিগ্রামের বাসিন্দা। পাশের তেলিগতি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন নিহত সেকেন্দার শেখ।
১৯৯৪ সালের ১৪ জানুয়ারি রাতে সেকেন্দারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই এনায়েত শেখ গোপালগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কে এম শাইখ আকতার।
শাইখ আকতার বলেন, সেকেন্দার শেখ কাঠিবাজারে চায়ের দোকান পরিচালনা করতেন। সেদিন রাতে চা বিক্রি শেষে বাড়ি ফেরার পথে কাঠি পশ্চিমপাড়া এলাকার কাঁচা রাস্তার পাশে কয়েক লোককে বসে থাকতে দেখে সেকান্দার তাঁদের দিকে টর্চ লাইটের আলো ফেলেন। তিনি সেখানে দেখতে পান সাত-আটজন বসে গাঁজা সেবন করছেন। সেকান্দার তাঁদের গাঁজা সেবনে মৌখিকভাবে বাধা দিলে মো. মিজান ওরফে শাহিনসহ সহযোগীরা মিলে ধারালো ছুরি দিয়ে সেকান্দারকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামি ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি মামলা হওয়ার পর থেকে রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নাম-পরিচয় গোপন করে আত্মগোপনে ছিলেন। আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।