ফরিদপুরে কুমার নদে গোসলে নেমে ডুবে যাওয়ার ২০ ঘণ্টা পর শিশু সোয়াদের (৭) লাশ ভেসে উঠেছে। আজ শুক্রবার সকালে লাশটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
এর আগে গতকাল বিকেলে দাদি মালেকা বেগম (৬০) ও আরেক নাতি তৌসিফের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাষাণচর গ্রামে কুমার নদে গোসলে নেমে দাদি ও তাঁর দুই নাতির মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলেন—মৃত মালেকা বেগম ওই গ্রামের বেলালউদ্দিন মৃধার স্ত্রী। মৃত তৌসিফ (৮) ও সোয়াদ (৭) তাদের দুই নাতি। দুই শিশু সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই। তৌসিফের বাবার নাম জহিরুল ইসলাম তোতা মৃধা আর সোয়াদের বাবার নাম শরিফউদ্দিন মৃধা।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সোয়াদের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিশুটির প্রতিবেশী ও ভাসানচর হামিদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, আজ ফজরের নামাজ শেষ করেই স্থানীয়রা শিশুটির লাশ খোঁজ করা শুরু করে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডুবে যাওয়া স্থানের কয়েক ফুট পাশেই হেলে পড়া বাঁশের ঝোপের সঙ্গে শিশু সোয়াদকে ভেসে উঠতে দেখা যায়। এ সময় স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করেন। আজ বাদ জুমা মৃত দাদি ও দুই নাতির জানাজা নামাজের সময় ঠিক করা হয়েছে।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার মোহাম্মদ নিসার আলী বলেন, নিখোঁজ শিশুটির বিষয়ে সকালে উদ্ধার অভিযানের কথা ছিল। এর আগেই শিশুটির লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা সেটি উদ্ধার করেছেন বলে আমাদের ফোন করে জানিয়েছে।