হোম > সারা দেশ > ফরিদপুর

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলা: জামিন পেলেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফরিদপুর সদর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শামসুল আলম দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় জামিন পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ ও মহানগর দায়রা জজ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ জামিন দেন। 

আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস পাল আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে গত ৭ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ৯ মে। নির্বাচনের একদিন আগে কারাগারে পাঠালেও তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০) জামিনের আবেদন শুনানির পর আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। 

এদিকে এই মামলায় পলাতক ৩২ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল আজ। প্রত্যেক আসামির সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন দাখিল করে জানায় আসামিদের পাওয়া যায়নি। আদালত উত্তর প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। 

এর আগে, গত ২২ এপ্রিল এই মামলায় সাবেক মন্ত্রীর ভাই মোহতেশামসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন এই আদালত। 

গত বছর ২৫ জুন এই মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। সম্পূরক অভিযোগপত্রে নতুন ৩৭ জন আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগের অভিযোগ পত্রে ১০ জন আসামি ছিলেন। 

এই মামলায় ৪৭ আসামির মধ্যে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমানসহ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী রয়েছেন। 

গত বছর ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২২ সালের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এ ছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তাঁরা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। 

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তাঁরা। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। 

পরে এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হাসান একটি দরখাস্ত দিয়ে আদালতকে জানান, এই মামলায় ৬ জন আসামি স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়ে অর্থ পাচারের দায় স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে আসামি নিশান মাহমুদ শামীম ও বিল্লাল হোসেন স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। কিন্তু তাঁদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

অন্যদিকে অন্যান্য আসামির স্বীকারোক্তিতে অর্থপাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়ে গেছে এমন কয়েকজনের নাম বলেছেন। তাদেরও মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আদালত শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। পরে অধিকতর তদন্ত শেষে আরও ৩৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ফরিদপুরে বহিরাগতকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা, রামদা নিয়ে কলেজশিক্ষকদের হুমকি

ফরিদপুরে কর্মচারীকে দিয়ে নারীর অস্ত্রোপচার, হাসপাতাল সিলগালা

ভাঙ্গায় মহাসড়কে মধ্যরাতে গাড়ির চাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

ফরিদপুরে পাইলিংয়ের সময় ধসে পড়ল পাশের ভবন

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল শিশুসহ চারজনের

মাঠে পড়ে ছিল মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ

ফার্মাসিস্ট ও টেকনোলজিস্টদের কর্মবিরতিতে সেবাগ্রহীতাদের ক্ষোভ

ভাঙ্গায় পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত

ফরিদপুরের সালথায় ৪ ঘণ্টায়ও থামেনি সংঘর্ষ, জড়িয়ে পড়েছে পুরো ইউনিয়নবাসী

ফরিদপুর-১: স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন আবুল বাসার খান