ফরিদপুরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ব্যানারে মিছিলের চেষ্টাকালে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পুলিশ। এ ঘটনায় আটক ৮ জনসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৬০-৭০ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন বিএনপি নেতার ছেলে বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের আটক ও মামলার তথ্য জানান কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে জেলা সদরের ঢাকা-ফরিদপুর মহাসড়কের মাচ্চর ইউনিয়নের চণ্ডীপুর এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জেলার সালথা উপজেলার খলিশাডুবি গ্রামের ফারুক মাতুব্বরের ছেলে ফাহিম মাতুব্বর (১৯), সোলাইমান মাতুব্বরের ছেলে হাসিবুল (১৯), ঝন্টুর ছেলে আকাশ (১৯), দাউদ শেখের ছেলে বিল্লাল হোসেন (১৯), গুড়দিয়া গ্রামের নয়া মাতুব্বরের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০), কোতোয়ালি থানার চণ্ডীপুর গ্রামের বিমল কুমার সরকার (৪৬), মধুখালী উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান মোল্যার ছেলে বাবু মোল্যা (১৯) ও গন্দাখালী গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে সোয়াদ (১৯)।
এদের মধ্যে ফাহিম মাতুব্বরের বাবা সালথা উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ও রামকান্তপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি পদে রয়েছেন। তাঁর চাচা লাবলু মাতুব্বর স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রবিউল ইসলামের বাবা বিএনপির সমর্থক। এ ছাড়া বিমল কুমার সরকার মাচ্চর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন বলে জানা যায়।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাঁদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ লেখাসংবলিত একটি ব্যানারও দেখানো হয়। ওই ব্যানারে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি আসাদউজ্জামান বলেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। এ সময় অনেকে সেখানে জড়ো হন। তাঁরা রেললাইনসহ মহাসড়কে মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাতে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাঁদের নামে মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।