রাজধানীর কলাবাগান এলাকার একটি বাসা থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সন্তানদের অভিযোগ পেয়ে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডিপ ফ্রিজ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী নজরুল ইসলাম পলাতক।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে আশিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে— পারিবারিক কলহের জেরে ওই নারীকে হত্যা করে মরদেহ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়।’
ওই নারীর তিন মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোমবার ভোরে তাদের বাবা নজরুল ইসলাম ঘুম থেকে ডেকে তুলে বাসা থেকে বের করে তিন মেয়েকে আদাবর নানাবাড়িতে রেখে আসেন। মায়ের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘তোমার মা অন্য লোকের সঙ্গে চলে গেছে।’
তবে বাবার কথায় সন্দেহ হওয়ায় মেয়েরা নানাবাড়ির স্বজনদের বিষয়টি জানায়। পরে পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ বাসায় গিয়ে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ডিপ ফ্রিজে লাশটি উদ্ধার করে।
পুলিশ বলছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পলাতক নজরুল ইসলামকে আটকের চেষ্টা চলছে।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম সোমবার রাতে জানান, ওই নারী তাঁর স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে লন্ডন কলেজের পাশে একটি ভবনে থাকতেন।
নিহতের তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের বয়স ১৯ বছর, মেজো মেয়ের ১১ এবং ছোট মেয়ের ৫ বছর। ছোট মেয়ে তার ভাইয়ের বাসায় থাকত। পুলিশ ধারণা করছে, রোববার দিবাগত রাত ১১টা থেকে সোমবার সকাল ৭টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। নিহত নারীকে আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী নজরুল ইসলাম পলাতক।