শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্যক্তিগত হাজিরা দিতে হবে না। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
আজ রোববার ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার দেওয়া এক আদেশে আদালত ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করেছেন। এর ফলে মামলার বিচার চলাকালে তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে না।’
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় ৬ জুন। অন্য তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
অভিযোগ গঠনের সময় ড. ইউনূসসহ অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের আবেদন করেন।
গত ৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের এই মামলা বাতিলের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সিদ্ধান্ত দেন ড. ইউনূসসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা চলবে।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে এ মামলা করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।