হোম > সারা দেশ > কিশোরগঞ্জ

মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ৬ 

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

আজ যাঁদের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁরা হলেন রুপা দে (৩৬), কলেজছাত্রী আনিকা আক্তার (১৮) ও পুলিশ কনস্টেবলের মেয়ে ইভা বেগম (৭)। এ নিয়ে মোট ছয়জনের লাশ উদ্ধার করল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ ঘটনায় এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।

এখনো যাঁরা নিখোঁজ রয়েছেন, তাঁরা হলেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানা ও তাঁর শিশু সন্তান রাইসুল ইসলাম, ভৈরব আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ভৈরব রেলস্টেশনের ফল ব্যবসায়ী ঝন্টু দের ভগ্নিপতি বেলন দে। 

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভৈরব নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান। 

তিনি বলেন, ‘বেলা ৩টার দিকে আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার সন্তান ইভা বেগমের লাশ শনাক্ত করেছেন সোহেলের সহকর্মীরা। তাঁর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। রুপা দের লাশ শনাক্ত করেছেন তাঁর স্বামী ঝন্টু দে। আর আনিকা আক্তারের লাশ শনাক্ত করেছেন তাঁর বাবা দারু মিয়া।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘অন্য তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’

এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানার বাবা আব্দুল আলিম বলেন, ‘আমার নাতনির লাশ দেখতে পেলাম। এক মুহূর্তে আমার পরিবারের সব শেষ হয়ে গেল। এমন যেন কারও জীবনে না ঘটে।’ 

রুপা দের মা বিভা দে বলেন, ‘আমার মেয়ের লাশ কিছুক্ষণ আগে পেলাম। চোখের সামনে ট্রলার ডুবে আমার মেয়ে পানির নিচে তলিয়ে যায়। আমার নাতনি চৈতীও ছিল। ভগবান আমার নাতনিকে বাঁচালেও মেয়েকে বাঁচাল না।’ 

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, ‘রোববার ৩টার দিকে আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছি। এর আগে আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার হয়। কিশোরগঞ্জ ও ভৈরবের ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত রয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে উদ্ধার তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি আমরা।’ 

গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনা নদীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। ঘটনার পর সুবর্ণা আক্তার (২০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। পরদিন শনিবার উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৌসুমী বেগম (২৫) ও আরাধ্য (১২) নামে আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ট্রলারটিতে কনস্টেবল সোহেল রানার পরিবারের পাঁচজন, ভৈরবের আমলাপাড়ার ফল ব্যবসায়ী ঝন্টু দের পরিবারের সাতজন এবং কলেজপড়ুয়া দুই বান্ধবী সুবর্ণা ও আনিকাসহ মোট ২১ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনার পর পর মোট ১২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

আরও ২ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা গ্রেপ্তার

সিআইডির ট্রেনিং সেন্টার থেকে এসআইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর আরামবাগে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

দেড় বছরে ১০ বার থমকে গেছে মেট্রোরেল চলাচল

‎গৃহকর্মী নিয়োগের পূর্বে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

নরসিংদীতে অবৈধ দুই ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

বিডিআর হত্যার তদন্ত প্রতিবেদনে আইজিপি বাহারুলের নাম, অপসারণের দাবিতে শাহবাগে পিন্টু সমর্থকেরা