ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দুই দেশের নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা, আহত বা মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। এ জন্য অধিক সতর্কতামূলক ও কার্যকর উদ্যোগ হিসেবে সীমান্তে যৌথ টহল জোরদার, বিশেষ করে রাত্রিকালীন টহল পরিচালনার বিষয়েও সম্মত হয়েছে বাহিনী দুটি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পিলখানায় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ে ৫২তম সীমান্ত সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ ও বিএসএফের মহাপরিচালক পঙ্কজ কুমার সিং সম্মেলনে নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে সীমান্তে আক্রমণ ও হামলার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে সমন্বিত যৌথ টহল পরিচালনাসহ অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি জোরদারকরণ, সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা আইনের বিধিবিধান সম্পর্কে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ব্যাপারে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।
সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা-সিবিএমপির (Coordinated Border Management Plan CBMP) ওপর গুরুত্বারোপ করে বিভিন্ন নিষিদ্ধ পণ্যসামগ্রী পাচার, যেমন মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য, বিশেষ করে ইয়াবা পাচার, আগ্নেয়াস্ত্র, জাল মুদ্রা, স্বর্ণ চোরাচালানসহ বিভিন্ন ধরনের সীমান্ত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে সিবিএমপি বাস্তবায়ন এবং উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী উপকৃত হবে—এমন তথ্য আদান-প্রদানে দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে।