পুলিশের গুলিতে নিহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমের (৩৮) মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু করে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষ হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী গোলাম মোকলেসুর রহমান বলেন, ‘পোস্টমর্টেমের ফাইন্ডিংসগুলো পর্যালোচনা করে রিপোর্টে আমরা আমাদের মতামত উল্লেখ করে দেব। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আমরা মরদেহ থেকে টিস্যু রেখেছি। এই রিপোর্টগুলো পাওয়ার পর আমরা পূর্ণাঙ্গ একটি রিপোর্ট দিতে পারব।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মৃতদেহে কিছু পিলেট ইনজুরি ছিল।’
এর আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে করে কমফোর্ট হাসপাতাল থেকে নুরে আলমের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন।
ঢামেক মর্গে বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, মর্গ থেকে মরদেহটি পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজার পর তাঁর গ্রামের বাড়ি ভোলায় নিয়ে যাওয়া হবে।
গত ৩১ জুলাই ভোলায় বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম। আহত নুরে আলমকে ওই দিন রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বেলা ৩টায় তাঁর মৃত্যু হয়।