হোম > সারা দেশ > ঢাকা

২০২ প্রাথমিকে শিক্ষক হাজিরা মেশিন অচল

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর

মাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।

প্রায় ছয় বছর আগে জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিন বসানো হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্থাপন করা এসব যন্ত্রে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় এক দিনের জন্যও ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, সদর উপজেলার ২০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব কটিতে মেশিন বসানো হয়। এ ছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও কিছু বিদ্যালয়ে একইভাবে মেশিন স্থাপন করা হয়েছিল। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে প্রতিটি মেশিন প্রায় ১৫ হাজার টাকা দরে কেনা হয়। কিন্তু যন্ত্রগুলো বসানোর পর কোম্পানি আর কোনো খোঁজ নেয়নি। ফলে বিদ্যালয়গুলোর দেয়ালে বা টিনের বেড়ায় ঝুলে থাকা মেশিনগুলো বছরের পর বছর অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। কোথাও কোথাও মেশিন হারিয়েও গেছে।

সরেজমিনে সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পৌর এলাকার রিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৭৫ নম্বর কলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০১ নম্বর দত্তকেন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।

জানতে চাইলে রিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার বলেন, ‘শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বায়োমেট্রিক মেশিন বসানো হয়েছিল, কিন্তু এক দিনও তা ব্যবহার করা হয়নি। ছয় বছর ধরে স্কুলের দেয়ালে এভাবেই পড়ে আছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামে এই প্রকল্প করে সরকারি অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। লাখ লাখ টাকা ব্যয় হলেও শিক্ষার কোনো উন্নয়ন হয়নি। এই মেশিনগুলো চালু থাকলে শিক্ষকদের নিয়মিত আসা নিশ্চিত হতো।

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফ মুহাম্মদ ইমারত হোসেন বলেন, ‘মেশিনগুলো কেন ব্যবহার হচ্ছে না, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছি, পুরোনো নথিপত্র দেখে বিস্তারিত বলতে পারব।’

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াদিয়া শাবাব আজকের পত্রিকাকে বলেন, যন্ত্রগুলো কেনার সময় কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করার জন্য এগুলো কেনা হয়েছিল—এটা সরকারের ভালো উদ্যোগ ছিল।

তাই পুনরায় চালুর দিকেও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিল ডিবি

সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল

ইটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ৬ জনের কারাদণ্ড

যাত্রাবাড়ীতে বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার ২

নারায়ণগঞ্জে এক বাসায় বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৪

আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৭ জন দগ্ধ

মাদারীপুরের ৩টি আসন: বিভক্ত বিএনপি, এগিয়ে জামায়াত

মিরপুরে খাঁচা থেকে বেরিয়ে এল সিংহী, আর চিড়িয়াখানা থেকে দর্শনার্থীরা

গুলশানে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ১