হোম > সারা দেশ > ঢাকা

মেয়র আতিক ও ভূমিমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সম্পদ দখল, অধিকার হরণসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিমের পরিবার। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। 

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের বাধাসমূহ দূর করা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামকে কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের যথাযথ নির্দেশ, সেই নির্দেশ প্রতিপালনে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা, ভূমি মন্ত্রণালয়ের এনএসপিডিএলের চুক্তি বাতিল আদেশ অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা ও সম্পত্তি পুনরুদ্ধার। 

জানা গেছে, রাজধানীর ভাষানটেকের ১৫০ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প এবং ঢাকার বিজয় সরণিতে অবস্থিত কলমিলতা বাজারে ডিএনসিসি কর্তৃক ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে মেয়র আতিক ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিমের পরিবার। 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ভাষানটেক পুনর্বাসন একটি পাইলট পরীক্ষামূলক প্রকল্প। এই প্রকল্পে সরকারের একটি টাকাও বিনিয়োগ করা হয়নি। পুরো প্রকল্পটি আব্দুর রহমান নিজের সম্পদ বিক্রি করে গড়ে তুলেছেন। অন্যদিকে, নর্থ সাউথ প্রোপার্টি একটি বিনিয়োগ ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদার প্রজেক্ট (পিপিপি)। ২০১০ সালে এক কাপড়ে নর্থ সাউথ প্রোপার্টি লিমিটেডের চেয়ারম্যান তথা আমার বাবা ও তাঁর কর্মচারীদের প্রকল্প থেকে অন্যায়ভাবে বের করে দেওয়া হয়। 

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিমের মেয়ে নুরতাজ আরা ঐশী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাবা নর্থ সাউথ প্রোপার্টি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমের রেখে যাওয়া বিশাল মালামাল ও অর্থ-সম্পদ আজও লুটপাট করে যাচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় ও প্রকল্পবিরোধী একটি চক্র। আর আমাদের পরিবারকে ২০১০ সালে দেশছাড়া করা হয়েছিল। ২০১২ সালে আমার বাবা আব্দুর রহিম দেশে এলে তাঁকে গুম করা হয়। এ ঘটনার পেছনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল ফারুক ও প্রকল্পবিরোধী একটি চক্র জড়িত রয়েছে। যেহেতু প্রকল্পটির রূপকার আমার বাবা, সেহেতু সরকার চাইলেও এ রকম একটি পরিকল্পিত প্রকল্প রহিমকে বাদ দিয়ে করতে পারবে না।’ 

নুরতাজ আরা ঐশী আরও বলেন, ‘ঢাকার বিজয় সরণির কলমিলতা বাজারের জায়গার প্রকৃত মালিক আমার বাবা। আজ অবধি ডিএনসিসি ও তার পূর্বসূরিরা পরস্পর যোগসাজশে আইনের অপপ্রয়োগ করে জবরদখল করে রেখেছে। যদিও হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট আমাদের দুই মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।

একপর্যায়ে তৎকালীন প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক কোর্টের আদেশ মেনে উক্ত সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ডিসি ঢাকাকে লিখিত প্রস্তাব পাঠান। মেয়র আনিসুল হকের হঠাৎ মৃত্যুর সুযোগে ডিএনসিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম দুর্নীতির মানসিকতায় ডিসি ঢাকাকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের চাহিদাপত্র না দিয়ে বছরের পর বছর সময়ক্ষেপণ করছেন। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে একাধিকবার উপরিউক্ত বিষয়গুলো সমাধানের জন্য সাক্ষাৎ করেছি। তিনি বারবার আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন এবং আতিককে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে এখন পর্যন্ত সব ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’ 

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

পাখিও তো গান গায়, পাখির নীড় ভাঙবে কবে—সংস্কৃতিকর্মীর জিজ্ঞাসা

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

সংস্কৃতির ওপর আঘাত মানে নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষাকে ব্যাহত করা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার মামলায় ১১ জন কারাগারে

টাঙ্গাইলে ৫ ইটভাটায় অভিযান, ২৯ লাখ টাকা জরিমানা

হাদি হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে—ইনকিলাব মঞ্চের ‘শহীদি শপথ’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ৩ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ

চকবাজার থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ফের ৫ দিনের রিমান্ডে