রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডে স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে কয়েক শ ব্যবসায়ীর স্বপ্ন। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আজ মঙ্গলবার রাত পৌনে ২টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের রাজউকের ৫৬,৫৭ ও ৫৮ নম্বর প্লটে গড়ে ওঠা সিন শেড কাঁচাবাজারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাজারটির বিপরীত পাশে থাকা খাবার হোটেলের লোকজন আজকের পত্রিকাকে জানান, হঠাৎ করেই বাজারটিতে আগুন দেখা যায়। পরে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে কাঁচাবাজারের দূরত্ব মাত্র কয়েক মিনিটের পথ হলেও সেখানে আসতে সময় লেগেছে ৪০ মিনিট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের শুরুর দিকেই পর পরই আশপাশের লোকজন যে যেভাবে পেরেছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়েছে। পাশের বহুতল ভবনের ওপর থেকে পানি ঢেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হয়। পরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দমকলবাহিনীর কর্মীরা। দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ততক্ষণে সব আধ-পাকা টিনের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা আজকের পত্রিকাকে জানান, বাজারটিতে ৭০ থেকে ৮০টি দোকান ছিল। এসব দোকানে শাক-সবজি, ইলেকট্রনিকস পণ্য, লেপ-তোশক, ফার্নিচারসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা হতো। ফলে দ্রুতই সবকিছুই পুড়ে গেছে।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার ৪ মিনিটের মধ্যেই উপস্থিত হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়।’
তিনি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।’
আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আগুন নেভাতে গিয়ে পানি সংকট পড়তে হয়। বাজারে পানির কোনো ব্যবস্থা ছিল না। সেই সঙ্গে অগ্নিনির্বাপক কোনো সিস্টেমও ছিল না। পরে বহুতল ভবন থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভানো হয়।’